মেকানিক্যাল টেকনোলজি বলতে যন্ত্র কৌশলকে বুঝায়। আবার যন্ত্র কৌশল বলতে কোন মেশিন বুঝায় বা যার সাহায্যে কোন যানবাহন পরিচালনা করা হয়। মেশিনের সাহায্যে উৎপাদনমুখী সকল কল-কারখানা পরিচালিত হচ্ছে। মানব সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকে শুরু হয়ে আধুনিক উন্নয়নের ধারক মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। এই টেকনোলজিতে অত্র প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারিক সকল উপকরণ সমূহ পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকায় তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক ক্লাসের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় একজন যোগ্য মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে এবং বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে চাকুরীসহ আত্নকর্মসংস্থান ও উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের রয়েছে সুবর্ণ সুযোগ।ড অ্যাকাডেমিক পরিবেশে অবস্থিত অত্র বিভাগের শিক্ষার্থীরা দক্ষ প্রকৌশলী হিসেবে গড়ে ওঠে নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকদের সযত্ন পরিচর্যায়।
ভর্তির যোগ্যতা
SSC / সমমান পরীক্ষায় যেকোন গ্রুপ থেকে জিপিএ ২.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ। যেকোন সালের পাশকৃত ছাত্র-ছাত্রীরা আবেদন করতে পারবে।
HSC (ভোকেশনাল) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ক্রেডিট ট্রান্সফারের মাধ্যমে শূন্য আসনে ৪র্থ পর্বে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে।
HSC (বিজ্ঞান) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা শূন্য আসনে ৩য় পর্বে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে।
মেকানিক্যাল ইঞ্জিঃ এর কর্মক্ষেত্র সমূহ
১.পাওয়ারপ্ল্যান্ট সমূহ
২.কল-কারখানা
৩.গ্যাসফিল্ড
৪.জাহাজ নির্মাণ শিল্প
৫.পেট্রোলিয়াম জাত পণ্য (লুব অয়েল, পেট্রোল,ডিজেল)
৬.যেকোন ইন্ডাস্ট্রির ইউটিলিটি ও মেইন্টেনেন্স বিভাগে।
৭.অটোমোবাইল
৮.বিভিন্ন সিমেন্ট ইন্ড্রাস্টিতে
৯.সার কারখানার
১০.রেলওয়ে
১১. বিমান
১২. নবায়নযোগ্য শক্তি
১৩.জেনারেটর/ক্যাপটিভ পাওয়ার ইত্যাদিতে।
Diploma in Marine Engineering
আধুনিক বিশ্বে পরিবহন খাতের আয়ের শতকরা ৫৪ ভাগ আসে নৌ পরিবহন খাত থেকে। নৌ পরিবহনের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে জাহাজ। জাহাজ পরিচালনার জন্য দক্ষ মেরিন ইঞ্জিনিয়ার প্রয়োজন। দক্ষ মেরিন ইঞ্জিনিয়ার গড়ার লক্ষ্যে মেরিন টেকণোলজি কোর্স প্রবর্তন হয়। অত্র প্রতিষ্ঠানে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পর্কে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে। মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করার পর একজন সনদ প্রাপ্ত ডিপ্লোমা মেরিন ইঞ্জিনিয়ার অভ্যন্তরীন ও সমুদ্রগামী জাহজে ক্যাডেট ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকুরীর যোগ্যতা অর্জন করবে। দেশে সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিপইয়ার্ড, ডকইয়ার্ড ও বিদেশে শীপইয়ার্ড এ যথেষ্ট চাকুরির সুযোগ রয়েছে।
ভর্তির যোগ্যতা
SSC / সমমান পরীক্ষায় যেকোন গ্রুপ থেকে জিপিএ ২.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ। যেকোন সালের পাশকৃত ছাত্র-ছাত্রীরা আবেদন করতে পারবে।
HSC (ভোকেশনাল) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ক্রেডিট ট্রান্সফারের মাধ্যমে শূন্য আসনে ৪র্থ পর্বে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে।
HSC (বিজ্ঞান) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা শূন্য আসনে ৩য় পর্বে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে।
মেরিন ইঞ্জিঃ এর কর্মক্ষেত্র সমূহ
মেরিন ইঞ্জিনিয়ারের কর্মক্ষেত্র সাধারণত দুই ধরনের হয়। আপনি যদি মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিয়োগ পেতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে কোন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেতে হবে। আপনার প্রতিষ্ঠান আপনাকে একটি জাহাজ নির্দিষ্ট করে দিবে যার যাত্রা আপনার সমাপ্ত করে পুনরায় প্রস্থানবন্দরে ফিরে আসতে হবে। জাহাজগুলো সাধারণত মালবাহী হয়। এক্ষেত্রে গাড়ি, তেল ট্যাংকার, কেমিক্যাল ট্যাংকার, কন্টেইনার, বিভিন্ন আসবাবপত্র সহ প্রভৃতি বড় আকারের দ্রব্য ও পণ্য জাহাজগুলো এক বন্দর হতে অপর বন্দরে বহন করে নিয়ে যায়। একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ারকে একটি জাহাজের সমগ্র যাত্রা সাফল্যের সাথে সমাপ্ত করতে হয়।
Diploma in Electrical Engineering
বিজ্ঞানী ভোল্টা কর্তৃক Electricity আবিস্কারের পর থেকেই মূলতঃ আধুনিক সভ্যতার যাত্রা শুরু। Electricity ছাড়া আমাদের জীবন যেমন অচল, Electrical Technology ছাড়াও পৃথিবী তেমনি অচল। কৃষি নির্ভর এবং শিল্পনির্ভর অর্থনীতি এখন পরিপূর্ণভাবে বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল। ভারী শিল্প থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র কুটির শিল্প এবং গ্রাম্য কৃষি উপকরণ আজও বিদ্যুতের নিয়ন্ত্রণে। বর্তমান সভ্যতার সকল আধুনিক উপকরণসহ বেঁচে থাকার জন্য যুগোপযোগী Medical Science-এর সকল উপকরণই বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রিত। Electrical Technology কে বাদ দিয়ে সভ্যতার সকল উপকরণই অর্থহীন। সুতরাং বলা যায় সভ্যতার সর্বত্র বিদ্যুতের গুরুত্ব অপরিসীম এবং এর গুরুত্ব চিরদিনই থাকবে। ফলে Electrical Technology এর চাহিদা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ভর্তির যোগ্যতা
SSC / সমমান পরীক্ষায় যেকোন গ্রুপ থেকে জিপিএ ২.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ। যেকোন সালের পাশকৃত ছাত্র-ছাত্রীরা আবেদন করতে পারবে।
HSC (ভোকেশনাল) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ক্রেডিট ট্রান্সফারের মাধ্যমে শূন্য আসনে ৪র্থ পর্বে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে।
HSC (বিজ্ঞান) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা শূন্য আসনে ৩য় পর্বে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে।
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিঃ এর কর্মক্ষেত্র সমূহ
Power Station, DESA, DESCO পল্লীবিদ্যুৎ বোর্ড, গ্যাস ফিল্ড, Power Grid, LGED, WASA, BTCL বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানী এবং যে কোন ইন্ডাস্ট্রিতে ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারদের প্রচুর চাকুরির সুযোগ রয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিক গুলোতে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে চাকরির সুযোগ রয়েছে।